মুসলিমা জগত

মুসলমানদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করায় বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত আরডার্ন নিউজিল্যান্ডে গত বছর দুটি মসজিদে এক সাদা শ্রেষ্ঠত্ববাদীর এলোপাতাড়ি গুলিতে ৫১ মুসল্লি নিহত হওয়ার আগে দেশটির নিরাপত্তা সংস্থা ‘প্রায় একতরফাভাবে’ সম্ভাব্য ইসলামি সন্ত্রাসবাদের প্রতি জোর দিয়েছিলেন। দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ এ হামলা নিয়ে একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, অস্ট্রেলীয় বন্দুকধারী ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেয়ার আগে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে না পারার ব্যর্থতার জন্য পুলিশের সমালোচনা করেছে রয়েল কমিশন অব ইনকোয়ারি। হামলার আগে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একটি বর্ণবাদী ইশতেহারও পোস্ট করেছিল এ সন্ত্রাসী। গুলি চালিয়ে নির্বিচারে মুসল্লিদের হত্যার দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়েছিল। এসব ত্রুটি সত্ত্বেও সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে কোনো ব্যর্থতা খুঁজে পায়নি ওই প্রতিবেদন। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চের ওই হত্যাকাণ্ড তারা প্রতিরোধ করতে পারত কিনা; এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদন প্রকাশের পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্ন বলেন, এসব ইস্যু হামলা প্রতিরোধ করতে পারত কিনা; এ নিয়ে কমিশন কোনো অনুসন্ধান করেনি। তথাপি, এখানে উভয়ের ব্যর্থতা আছে। যে কারণে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ট্যারেন্টকে প্যারোলবিহীন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হামলার পর মুসলমানদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করায় বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিলেন আরডার্ন। ওই অস্ট্রেলীয় সন্ত্রাসীর ব্যবহার করা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের বিক্রি তিনি দ্রুতগতিতে নিষিদ্ধ করেন। অনলাইন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটি বৈশ্বিক আন্দোলনও শুরু করেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। (সৌজন্যেঃ এমটি নিউজ ২৪.কম, ০৮.১২.২০২০) লাখো কোটি ডলার দিলেও হিজাব ছাড়ব না: হালিমা মার্কিন মডেল হালিমা আদেন র‍্যাম্প (রানওয়ে) মডেলিং ছেড়ে দিচ্ছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, নিজের ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে মডেলিং ছেড়ে দিতে যাচ্ছি। যে কাজটি করছিলাম সেটি আমার ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ২৩ বছর বয়সী হালিমাকে ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগের ব্রিটিশ ও আরবি সংস্করণে প্রচ্ছদে দেখা গেছে। তিনি বলেন, আমাকে ১০ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মূদ্রায় ৮৪ হাজার ৭'শ ৯২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা) দেওয়া হলেও আমি হিজাব নিয়ে কোনো আপসের ঝুঁকি গ্রহণ করব না। আগের মতো হিজাব নিয়ে কোনো ছাড় দেব না। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিবিসিকে তিনি বলেছিলেন, শালীনতা কোনো নির্দিষ্ট সংস্কৃতির জন্য নয়, কেবল বিশেষ কোনো সম্প্রদায়ের নারীর জন্যও নয় এটি। শালীনতাই হলো প্রাচীনতম ফ্যাশন। তিনি জানান, করোনা মহামারিকালে একজন মুসলিম নারী হিসেবে তার মূল্য কতটুকু, তা নিয়ে ভাবার সুযোগ হয়েছে। অবশেষে আমি উপলব্ধি করি যে ব্যক্তিগতভাবে আমার হিজাব পরিধানে ত্রুটি ছিল। তিনি আরও বলেন, সমাজে হিজাব পরিধান করে চলাচল করা সত্যিই একটি কঠিন কাজ। মডেলিংকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করা নিয়ে আদেন জানান, সুযোগের চেয়েও বেশি গ্রহণ করি যা আমার জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। একজন কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিম নারী হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে সফল হলেও নানা রকম চাপ অনুভব করেন তিনি। তাছাড়া ফটোশুটের সময়ের অস্বস্তিবোধও পীড়া দেয় তাকে। (সৌজন্যেঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন) আলহামদুলিল্লাহ্, কোরআন তেলাওয়াত শুনে ফরাসি তরুণীর ইসলাম গ্রহণ আমি দক্ষিণ ফ্রান্সের একটি ক্যাথলিক পরিবারে বেড়ে উঠেছি। ছুটি কাটানো ছাড়া ধর্ম আমাদের জীবনের বিশেষ কিছু ছিল না। ফ্রান্সে ধর্ম একটি ব্যক্তিগত বিষয়। মাধ্যমিক স্কুলে একটি মুসলিম মেয়ে আমার সহপাঠী ছিল। তার সঙ্গে কেউ বন্ধুত্ব করতে রাজি ছিল না। আমি তাঁর দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলাম। আমার মা-বাবা বলেছিলেন সবার প্রতি সহানুভূতিশীল হতে—সে যে বর্ণেরই হোক এবং যেখান থেকেই আসুক। তাই আমি তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্বের সিদ্ধান্ত নিলাম। মনে পড়ে, মারিয়াম ছিল ব্যক্তিত্ববান এবং অঙ্ক করার সময় সমস্যায় পড়লে সে আমাকে সাহায্য করত। সপ্তাহে দুইবার আমি ও মারিয়াম আমাদের বাড়িতে লেখাপড়া করতাম। একদিন কোনো কারণে আমাদের বাড়িতে পড়া সম্ভব ছিল না। সে আমাকে তাদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাল। আমি আগে কখনো তাদের বাড়ি যাইনি। তার মায়ের সঙ্গে দেখা হবে—এই ভাবনায় আমার ভেতর উত্তেজনা অনুভব করছিলাম। তখন আমার বয়স ১৫ বছর। তারা ছোট একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকত এবং মারিয়ামের নিজস্ব কোনো বেডরুম ছিল না। আমরা লিভিংরুমেই পড়তে বসলাম। তার মা ছিলেন খুবই বন্ধুসুলভ। তিনি আমাদের জন্য খাবার তৈরি করলেন। আমরা যখন পড়ছিলাম, মারিয়ামের মা তখন রুমের অন্য পাশে বসে একটি বই পড়ছিলেন। যদিও তিনি নিচু স্বরে পড়ার চেষ্টা করছিলেন, তবু আমি তাঁর চমৎকার সুর শুনতে পাচ্ছিলাম। মারিয়ামকে জিজ্ঞেস করলাম, তার মা কী করছেন। সে উত্তর দিল, মা মুসলমানের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পাঠ করছেন। আমি বিস্মিত হলাম। কেননা আমি কখনো এভাবে কাউকে বাইবেল পাঠ করতে দেখিনি। মারিয়ামের মাকে বললাম, আপনি আমাদের কাছে বসুন এবং কোরআন পাঠ করে শোনান। যদিও আমি একটি শব্দও বুঝিনি, তবু তাঁর কোরআন পাঠে আনন্দ পেলাম এবং তা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেল। সেদিনের পর আমি বারবার মারিয়ামের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করেছি, যেন তার মায়ের কাছ থেকে কোরআন তিলাওয়াত শুনতে পারি। কোরআন শুনতে শুনতে একপর্যায়ে আমি তাঁর ধর্ম সম্পর্কে জানতে চাইলাম। তিনি ইসলামের পাঁচটি মূলস্তম্ভ সম্পর্কে জানালেন। তিনি প্রতিদিন পাঁচবার স্রষ্টার প্রার্থনা করেন শুনে আমি বিস্মিত হলাম। আমি তাঁর প্রার্থনা (ইবাদত) দেখার আবেদন করলাম এবং তিনি তা অনুমোদন করলেন। তাঁর প্রার্থনা, স্রষ্টার সামনে তাঁকে সিজদাবনত দেখে ইসলামের প্রতি আমার ভক্তি ও ভালোবাসা তৈরি হলো। একদিন আমি বললাম, আমি কি আপনার সঙ্গে প্রার্থনা করতে পারি? তিনি আমাকে মুসলিম হতে না বলে তাঁর সঙ্গে প্রার্থনা করার আহ্বান জানালেন। আমি, মারিয়াম ও তার মা লিভিংরুমে একসঙ্গে প্রার্থনা করলাম। তখন আমার বয়স ১৬ বছর। ইসলাম গ্রহণের আগেই আমি ইসলামী প্রার্থনায় (নামাজ, মোনাজাত ইত্যাদি) অভ্যস্ত হয়ে গেলাম। তবে আমি পরিবার নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। আমার ভয় ছিল, তারা এটা অনুমোদন করবে না। মারিয়াম ও তার মা আমাকে কখনো ইসলাম গ্রহণের জন্য চাপ দেননি। হাই স্কুল শেষ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য আমি প্যারিসে যাই। এটা ছিল আমার জীবন বদলে দেওয়ার অবারিত সুযোগ। আমি বিষয় হিসেবে ইতিহাস ও আরবি ভাষা নির্বাচন করলাম। কারণ আমি কোরআন সম্পর্কে জানতে চাই। ইসলাম সম্পর্কে আমার আগ্রহ বাড়ছিল। ইসলাম সম্পর্কে পড়তে শুরু করলাম এবং প্রার্থনার অভ্যাস অব্যাহত থাকল। ইসলাম সম্পর্কে যত জানছিলাম, ইসলাম গ্রহণের আগ্রহ তত বাড়ছিল। মারিয়ামের মায়ের প্রথম তিলাওয়াত শোনার ১০ বছর পর আমি ইসলাম গ্রহণ করি। পরিবারকে ইসলাম গ্রহণের কথা জানালে তারা ব্যথিত হয়। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বহাল রাখতে এবং তাদের ভুল ভাঙাতে আমার দীর্ঘ সময় লাগে। সৌজন্যেঃ অ্যাবাউট ইসলাম স্বামী-সন্তান হারিয়েছি, ঈমান ত্যাগ করিনি : নওমুসলিম নারীর আত্মত্যাগের কথা 'লে' ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। অবসর কাটাতে ভর্তি হন মৃশিল্প প্রশিক্ষণ কোর্সে। কোর্সের এক মুসলিম সহপাঠীর মাধ্যমে ইসলাম গ্রহণ করেন। ফলে স্বামী ও সন্তানকে হারাতে হয় তাকে। অ্যাবাউট ইসলামে তার অসামান্য সে আত্মত্যাগের কথা লিখেছেন তেরেসা কার্বিন এবং তা ভাষান্তর করেছেন আবদুল মজিদ মোল্লা। লে যখন মৃশিল্পের ওপর ক্লাস শুরু করেছেন, তখন তিনি বিশোর্ধ্ব নারী। তিনি ছিলেন বিবাহিত এবং তার ছোট একটি সন্তানও ছিল, যে সবে স্কুলে যেতে শুরু করেছে। ক্লাসটি শুরু করার পর তার জীবনের নতুন পথযাত্রা শুরু হয়, যা তিনি কখনো কল্পনাও করেননি। প্রথম ক্লাসেই লে একজন সহপাঠীকে লক্ষ করেন; লের ভাষায় যে ছিল 'মজার পোশাক' পরা। ক্লাস শেষে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাঁকে কফির আমন্ত্রণ জানাল। মা হওয়ার পর থেকে তার নিঃসঙ্গ সময়ের কথা মনে পড়ল লের। কথা বলার মতো একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তাঁর পাশে ছিল না। ফলে কফি আড্ডায় অংশগ্রহণ ও নতুন বন্ধুদের পেয়ে লে আনন্দিত বোধ করছিলেন। সেদিনের আড্ডা সম্পর্কে লে বলেন, 'আমি এমন একদল নারীর সঙ্গে বসেছিলাম, যারা গালগল্প করতেই ভালোবাসে। তাদের আলোচনার বিষয় ছিল একজন যুবতী, যে সবার ব্যতিক্রমে হিজাব পরেছিল। আমি মূলত এমন একদল প্রাপ্তবয়স্ক ও বুঝমান বন্ধু খুঁজছিলাম, যাদের সঙ্গে জীবনের সুখ-দুঃখ ভাগ করা যায়। উচ্চ বিদ্যালয়ের বন্ধুদের মতো কৌতুক ও রসিকতায় মত্তদের ব্যাপারে আমার আগ্রহ ছিল না।' লে সিদ্ধান্ত নিলেন 'মজার পোশাক পরা' নারীর সঙ্গে তিনি বন্ধুত্ব করবেন। কয়েক মাসের বন্ধুত্বের পর লে কলেমা শাহাদাত পাঠ করেন। কিন্তু লে তখনো জানতেন না তাঁর যাত্রা মাত্র শুরু হলো। লে বলেন, 'ইসলামের অনুপম বিশ্বাসে আমি দারুণভাবে উজ্জীবিত ছিলাম। আমি চাইলাম স্বামীসহ আমার জীবনের প্রত্যেকের সঙ্গে তা সমানভাবে ভাগ করে নিতে। কিন্তু সে যেহেতু মৃিশল্প শেখা, বিভিন্ন বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা, ভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ দিয়েছিল, তাই মুসলিম হওয়ার সংবাদে সে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হলো।' ঘনিষ্ঠ সবাই অসংখ্য প্রশ্ন করল। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তার স্বামী। লে বলেন, 'সে আমার ভেতর ইসলামবিদ্বেষ সৃষ্টি করতে চাইল, অথচ সে ইসলাম সম্পর্কে কিছুই জানত না। তার কাছে ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলার অর্থ ছিল দেয়ালের সঙ্গে কথা বলা। আমি ইবাদত শেখার সময় সে বাধা দিত এবং আমি নামাজ আদায় শুরু করলে সে ঝগড়া শুরু করে। আমার মনে হচ্ছিল, আমার বিয়ে ভাঙতে যাচ্ছে। সব বাধার পরও আমি ইসলাম চর্চা অব্যাহত রাখলাম। এ সময়টি আমার জীবনে ঝড়ের মতো ছিল। তবে আমার মনে ছিল প্রশান্তি। স্বামী সব সময় আমার নতুন ধর্মবিশ্বাসের ওপর আঘাত করে যাচ্ছিল এবং নতুন ধর্ম ত্যাগ না করলে বিচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছিল। কিন্তু আমি তা প্রত্যাখ্যান করলাম এবং সে তার অঙ্গীকার পূরণ করল।' বিয়েবিচ্ছেদের পর লে প্রচণ্ড রকম বিপর্যস্ত হলেন। কেননা তিনি শুধু বৈবাহিক জীবন হারাননি, বরং তার বিরুদ্ধে মানসিক ভারসাম্য হারানোর অভিযোগও আনেন তার স্বামী। তার পরও তিনি ঘুরে দাঁড়ান। কারণ 'আমি কৃতজ্ঞ যে আমি সহপাঠী মুসলিমাকে একজন সত্যিকার বন্ধুরূপেই পেয়েছিলাম। সে আমাকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিল। যত দিন না আমি চাকরি খুঁজে পাই এবং একটি অবস্থানে যেতে পারি। সে বলে, জীবনে কঠিন সময় আসে; কিন্তু তা স্থায়ী কিছু নয়। কখনো কখনো ভবন সংস্কারের জন্য তা ভেঙে ফেলতে হয়। এভাবে কখনো কখনো আমাদের জীবনও ভেঙে ফেলতে হয়। শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার আগে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।' লে নতুন চাকরি নিয়ে স্থিতিশীল জায়গায় যাওয়ার পর তার সাবেক স্বামী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং মেয়েকে ধর্মান্তর করবেন—এমন অভিযোগে তাকে নিজের কাছে নিয়ে যায়। ফলে লের জীবনে আবারও দুঃখের দিন শুরু হয়। তার পরও তিনি নতুন জীবন শুরু করেন। একজন মুসলিম পুরুষকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান হয়। নিজের জীবনসংগ্রাম সম্পর্কে লে বলেন, 'আমি বলব না, ইসলাম গ্রহণের পর আমি খুব সুখে দিন কাটিয়েছি। তবে আমি হাসিমুখেই প্রতিকূল পরিস্থিতে মোকাবেলা করেছি। কেননা ইসলাম আমাকে সে মানসিক শক্তি ও সামর্থ্য দিয়েছে।' (সৌজন্যঃ এমটি নিউজ ২৪) হালাল ভালোবাসা এত সুন্দর আগে ভাবিনি : সানা খান বলিউডের রঙিন দুনিয়া ছেড়ে ধর্মের পথে এসেছেন অভিনেত্রী সানা খান। গত মাসে বিনোদন জগৎ ত্যাগের ঘোষণা দেন। সম্প্রতি বিয়ে করেছেন মাওলানা অনস খানকে। বিয়ের পর তিনি বলেছেন, ‘হালাল ভালোবাসা এত সুন্দর আগে ভাবিনি।’ খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের। শোবিজ জগত ছেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি মানবতার সেবা করবেন এবং তার স্রষ্টার আদেশ মেনে চলবেন। sana3 বিয়ের পর ভালোবাসায় ডুবেছেন সানা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে স্বামীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লিখেছেন,‘কখনো ভাবিনি হালাল ভালোবাসা এত সুন্দর হতে পারে। তোমায় বিয়ে করার পর অনুভব করেছি। সব হালাল কাজেই পুণ্য হয়।’ তার আগে ইনস্টাগ্রামে মেহেদি পরা হাতের ছবি দিয়েছিলেন সানা। সেখানে ক্যাপশনে লিখেছিলেন,‘আমার ভালোবাসা পবিত্র না হলে এত চড়া মেহেদির রং আসত না।’ sana3 সাদা গাউনে একাধিক ছবিও শেয়ার করেছেন সানা। ছবি দেখে বোঝাই যাচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে চুটিয়ে সংসার করছেন তিনি। সানা এটাও লিখেছেন, আল্লাহর জন্যই একের অপরকে ভালবেসেছেন। আল্লাহর জন্য বিয়েও করেছেন। এই দুনিয়ায় আল্লাহ আমাদের একসঙ্গে রাখুন। জান্নাতেও যেন আবার মিলিয়ে দেন। অভিনেত্রী সানা খান প্রাথমিকভাবে মডেলিংয়ের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরবর্তীতে বিজ্ঞাপনচিত্র ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে মিডিয়াতে প্রবেশ করেন। এছাড়াও তিনি দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে, টিভি কর্মাশিয়াল ও টেলিভিশন রিয়েলিটি শোতে কাজ করেছেন। সানা ৫টি ভাষায় ১৪টি চলচ্চিত্রে এবং ৫০টির মত বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। (সৌজন্যেঃ https://www.jagonews24.com)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

The Muslim Women remain ahead in Islamic Website